যে যে অবস্থানে আছেন, নিজের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে চেষ্টা অব্যাহত যুগ যুগ থেকে ছিলো এবং থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্ত
মান অবস্থার পাশাপাশি নিজেকে আরো ভালো অবস্থানে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমের পাশাপাশি চাকুরীর সাইট গুলোর প্রতি অনেকেরই নজর থাকে।
কিন্ত চাকুরীর সকল সাইট গুলোতে নির্ভ রযোগ্য বলা যায় না।
নিচে বৈশিষ্ট্য সম্বলিত চাকুরীর কয়েকটি ওয়েবসাইটের এর পরিচয় দেয়া হলো
পৈতৃক সম্পত্তির বা কোন দাতব্য উত্তরাধিকারের পরে ভার্চুয়ালে এলো ফেসবুকের নতুন অপশন লিগ্যাসি কন্টাক্ট। আপনি আপনার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার হিসেবে আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টের যে কাওকে লিগ্যাসি পারমিশন দিতে পারেন। এতে তার সাথে আপনার ঘটে যাওয়া মনে রাখার মত ঘটনাগুলি শেয়ার করতে পারবে। যাকে লিগ্যাসি দিবেন তাকে অবশ্যই ১৮ বছরের বা তার অধিক হতে হবে। এটা ব্যক্তিগত বিষয় যেহেতু তাই অপরিচিত কাওকে লিগ্যাসি না দেয়াই ভালো।
ভাইভা শুধু জব সেক্টরে প্রবেশ করতে নয় , ফার্মেসি পড়ুয়াদের প্রত্যেকটি সেমিষ্টার শেষেও দেয়া লাগে প্রায় সব বিষয়ে ।এটা নিশ্চয়ই একটা ভাল পদক্ষেপ যাতে স্টুডেন্টদের ভেতরের জ্ঞানটা বের হয়ে আসে ।কিন্তু এই জ্ঞানের পরিধির বাইরে থেকেই যেই এক্সটারনাল প্রশ্ন করে ,
তাকে কি রামছাগল বলা যায় না !!!
Vedam- হিন্দিতে যাকে বলে “অন্তিম ফায়সালা”। আমার মনে হয় খুব কম লোকই আছে যে কিনা এই তেলেগু মুভি টা দেখেনাই। কিন্তু যারা দেখেন নাই, তারা খুব ভালো একটা মুভি দেখা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বলে আমি মনে করি। আমি কয়বার যে দেখেছি তার হিসেব নাই। জতবার দেখি শুধু মনে হয় কেন শেষ হল মুভিটা।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া এইটা একটি তেলেগু ড্রামা ফিল্ম। যা হিন্দিতেও ডাবিং করা হয়েছে। মুভিটা একাধিক পুরষ্কার পেয়েছে।যার মধ্যে ৪টা তেলেগু ফিল্মফেয়ার এ্যাওয়ার্ড জিতেছে (বেস্ট মুভি, বেস্ট ডিরেক্টর, বেস্ট অভিনেতা, বেস্ট অভিনেত্রী)
ফেসবুকে প্রতিদিনই আমাদের কত নতুন নতুন ‘ফ্রেন্ড’ হচ্ছে। কিন্তু এরকম হতেই পারে যে, আপনি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের কোনো কোনো বন্ধুকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বেশ কয়েকটি কারণে এমনটি হতে পারে। ফ্রেন্ডলিস্টের কোনো ফেসবুক বন্ধু যদি তার নিজের একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দেয় তাহলে সাইটটিতে তার বন্ধুরা তাকে আর দেখতে পাবেন না। আপনার কোনো ফেসবুক বন্ধু যদি আপনাকে আনফ্রেন্ড করে দেয় অর্থাৎ ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে আপনাকে মুছে ফেলে তাহলে আপনি সেই ‘ফ্রেন্ড’কে আপনার বন্ধুতালিকায় দেখবেন না। কিন্তু ফেসবুকে যাদের ফ্রেন্ডলিস্ট বিশাল, তাদের পক্ষে সব বন্ধুর হিসেব রাখা কঠিন।
Bangla Short Film 2015 is a story about three man which named mejor fahat, journalist forhad hossain and hossain labib . I think you will learn many things by watching this bangla short film.
• Story, Screenplay, Dialogues and Direction : Syeed Mirza • Produced by : Syeed Mirza • D.o.p : Tanveer Dico • Editor : Saifur Rahman Saif • Associate director : Mahfuzur Rahman, Arefin Sultan, Mithu Ahmed • Assistant Director : Mahmudul Hasan Bappy • Cast : Syeed Mirza & Tanveer Dico
• VERY SPECIAL THANKS TO
Saifur Rahman Saif, for his Editing. & Fazle Rabbi, who gave me the name of this short film named "Simante Porajoy"
Please subscribe! My Channel For new Bangla Short Film Thanks, Syeed
Bangla Short Film 2015 - Defeat on Border (Simante Porajoy) – Directed by Syeed Mirza Bangla short film 2015 l bengali short film 2015 l best bangla short film l top bangla short film l top benglai short film l best short film l youtube bangla movie l bangla full movie .. I Think You Like It..
একটি সত্যিকারের কাহিনী অবলম্বনে আমার করা প্রথম শর্ট-ফিল্ম "The Chameleon (গিরগিটি)" অনেক বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে শত ভুল ত্রুটির মাঝেও অবশেষে শর্ট-ফিল্ম টি রিলিজ দিতে পেরেছি। প্রথম কাজ, তাই হাজার ভুল ত্রুটি হলেও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করছি সকলেই দেখবেন এবং অবশ্যই খারাপ ভালো যাই হোক, সকলেই ইউটিউবে কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি ভালো লেগে যায় তাহলে ইউটিউবে লাইক শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন !!!
The Chameleon (গিরগিটি) is a short film based on a true story and daily incidents faced by almost every 'common man'.
• Story, Screenplay, Dialogues and Direction : Syeed Mirza • Produced by : Syeed Mirza https://www.facebook.com/syeedmirza007 • D.o.p : Akram Hossain • Editor : Rakib Shoeib • Associate director : Mahfuzur Rahman, Arefin Sultan, Mithu Ahmed • Assistant Director : Selim Akand • Cast : Mahmudul Hasan Bappy & Tanveer Dico
• VERY SPECIAL THANKS Rakib Shoeib, for his Editing. Nasima, a poor child who sold us her hog plum during our shooting time.
আমি যদি বলি আপনি এখন পর্যন্ত যত পৃথিবীর যতগুলো মানচিত্র দেখেছেন সবগুলোই একই সাথে ভুল। শুধু ভুলই না অসম্ভব রকমের ভুল। হাস্যকর রকমের ভুল।
কিন্তু আমরা সেই ভুল ম্যাপই বা কেন দেখছি শত বছর ধরে। আসুন জানি পৃথিবীর ম্যাপ সম্পর্কে।
উপরে যে একটা ছোট বিন্দুর মতন পয়েন্ট দেখতেছেনে এটা আমাদের পৃথিবী। ছবিটা তোলা হয়েছে মঙ্গলগ্রহের ভুপৃস্ঠ থেকে। তার মানে আপনি যদি মঙ্গল গ্রহে যেতে পারেন তবে পৃথিবী নামক এই বিশাল গ্রহাটাকে দেখতে পাবেন ছোট একটা বিন্দুর মতন।
উপরের ছবিটা বলা হয়ে থাকে চাদের যাওয়া উপগ্রহ এপলো১৭ থেকে তোলা ছবি। খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানে গোল গাল রঙিন একটা গ্রহ। কিন্তু পৃথিবী আসলে দেখতে কেমন?
প্রথমত যে ভুলটি আমরা করি সেটা হচ্ছে আমরা পৃথিবীর উত্তর দিক কে বা উত্তর মেরুকে উপরের দিক মনে করি। সব সময় আমরা যে ম্যাপগুলো দেখি সেগুলোতে এই কমন ভুলটি আমাদের বুঝিয়ে থাকে যে পৃথিবীর উপরের দিক হচ্ছে উত্তর মেরু আর নিচের দিকে হচ্ছে দক্ষিন মেরু। তাই রাশিয়া উপরের দিকে থাকে আর অস্ট্রেলিয়া নিচের দিকে থাকে। এর প্রধান কারন হচ্ছে প্রথমদিকে যারা পৃথিবীর ম্যাপ তৈরি করতেন তারা বেশিরভাগই ইউরোপের ছিলেন। আর তারা উত্তরদিককে শুভ ভাবতেন। তাই তারা উত্তরদিককেই উপরের দিকে রেখে ম্যাপটি তৈরি করেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি নাহ দক্ষিনমেরু উপরের দিকে থাকবে। নাহ তাতে আমার মোটেই ভুল হবে না। যদিও উল্টাে করে দেখা ম্যাপ আপনার কাছে অদ্ভুদ আর হাস্যকর লাগতে পারে। কিন্তু সেটা মেটেই ভুল নয়।
আরো মজার বিষয় হচ্ছে এপলো১৭ এর ক্রুরা যে ছবিটি তুলেছিলেন সেটি ছিল একচুয়ালি আমাদের ম্যাপের ঠিক উল্টো টা। কিন্তু সেটা আমরা মোটেই বুঝতে পারবো না দেখে সেই ছবিটাকে উল্টে আমাদের সামনে প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানিরা। এই পুরো বিষয়টা আমাদের চোখের দেখার উপরে নির্ভর করে আসলে।
মারাত্মক একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা যদিও বিশ্বাস করি যে পৃথিবী একটা গোল গ্রহ কিন্তু আমাদের চোখের সামনে যতদুর যায় পুরোটাই একেবারে সমান বা ফ্লাট। কোথায় কোন গোল বলতে কিছুই নেই। এটার কারন হচ্ছে আমরা থ্রিডাইমেনশনাল বা ত্রিমাত্রিক পৃথিবী সম্পর্কে মোটেই জানি না। আমাদের চোখের সামনে আমরা পৃথিবীর দুইটা ডাইমেনশন এর বেশি দেখতে পাই না। যতদুর চোখ যাবে আপনি দেখতে পাবেন দৈর্ঘ আর প্রস্থ। কিন্তু পৃথিবী তো এই দুইটা মাত্রা ছারাও আর একটা মাত্রা আছে। আর সেই মাত্রাটার জন্যই এটা সম্পুর্ন গোল। কিন্তু যখনই পৃথিবী থেকে উপরে যাওযা যায় তখনই বোঝা যায় আসলে আমরা একটা দৃস্টিভ্রমের মধ্যে বাস করতেছি।
এখন পৃথিবীর ম্যাপ করতে গিয়ে বিজ্ঞানিরা এই থ্রিডাইমেনশনাল সমস্যাটার মোকাবেলা করেছেন সবার আগে। কারন গোল ত্রিমাত্রিক একটা পৃথিবীকে যখন একটা ফ্লাট বা সমান কাগজের উপরে আনতে যাবেন তখনই সবচয়েে বড় সমস্যাটা হবে যে সবকিছুই একই সাথে আসবে না। মনে করেন কাগজের উপরে আপনি যদি আফ্রিকা আনতে যান তবে ভুমধ্যসাগর আসবে না। আবার বাংলাদেশ আনতে গেলে আমেরিকা মোটেই আসবে না। কারন এগুলোর দুরত্ব অনুযায়ি একটা আরএকটার উল্টাদিকে বসে আছে।
বিজ্ঞানিরা একটা মজার কাজ করলেন। তারা পুরো পৃথিবীটাকে একটা সিলিন্ডার আকৃতিতে নিয়ে আসলেন। তার পরে সেটার উপরে ম্যাপটা আকলেন। এবং সেটাকে ফ্লাট করে দিলেন। কিন্তু এই সিলিন্ডার করতে গিয়ে কিছু দেশের সাইজ চেঞ্জ করার প্রয়োজন পরল। তখনই বিষয়টা সবার সামনে আনলেন বিশ্ববিখ্যাত ম্যাথামেটিশিয়ান Carl Friedrich Gauss। গাউস হিসাব করে সর্বপ্রথম এই সমস্যার সমাধান করে দিলেন। এরপরই আসলো ফ্লাট ম্যাপ এর ধারনা যেটা বর্তমানে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ফ্লাট ম্যাপ বা সমান মানচিত্র বলতে কিছুই নেই। এই ম্যাপগুলো আসলে এক একটা এক একটা কাজের জন্য বানানো হয়েছিল। তাই সেই ভাবেই এগুলো দেখানো হচ্ছে। এগুলোকে আসলে এক একটা projection বলে। এই projection গুলো মুলত পৃথিবীর ম্যাপকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে। কি বুঝতে কস্ট হচ্ছে??
আচ্ছা ঠিক আছে এবার আমরা তাহলে Mercator projection সম্পর্কে আলোচনা করি। এইটা আসলে আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। আসলে পৃথিবীর ম্যাপটাতে যদি আপনি ভালো করে তাকান তাহলে খেয়াল করুন আফ্রিকা মহাদেশটা অনেক ছোট দেখাচ্ছে। কিন্তু আসলে আফ্রিকা মাহদেশ এর আয়তন যদি আপনি বাস্তবে কোন স্কেলের নিচে রাখেন তবে সেখানে আমেরিকা, ভারত, চিন সহ পুরো উরোপের সবগুলো দেশ আনায়সে আটকে যাবে। আবার যদি আপনি ম্যাপের উপরের দিকে গ্রিনল্যান্ডের দিতে তাকান তবে সেটার সাইজ আর আফ্রিকার সাইজ প্রায় সমান দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে গ্রিনল্যন্ড নামক ছোট দেশটি আফ্রিকার মধ্যে ১৪ বার আনায়সে সেট হয়ে যাবে। আবার অস্ট্রোলিয়ার যে সাইজ দেখেন বাস্তবে সেটা আরো ঢের অনেক বড়। আমেরিকার আলাস্কার সাইজ দেখতে ব্রাজিলের মতন হলেও ব্রাজিল আলাস্কার থেকে প্রায় ৫ গুন বড়।
ম্যাপটাতে একচুয়ালি যেটা করা হয়েছে তা হচ্ছে গোল পৃথিবীটাকে প্রথমে একটা সিলিন্ডার করে ফেলা হয়েছে। তো সিলিন্ডার আকৃতি আনতে গিয়ে মেরু অঞ্চলের জমির সাইজ বড় করে ফেলা হয়েছে আর বিষুবরেখার অঞ্চলগুলোকে অনেক অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে। বিশ্বাস না হলে এক কাজ করুন আমার নিচের দেয়া লিংকে চলে যান। এটা গুগল ম্যাপস এর পাজল সফ্টওয়ার। এটাতে কিছক্ষন ঘুরোঘুরি করলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনাটা কোথায়। https://gmaps-samples.googlecode.com/svn/trunk/poly/puzzledrag.html">
খেয়াল করুন লাল চিন্হিত অংশগুলো এক একটা দেশের অংশ। তাদেরকে আপনি যখনই মাউস এর কার্সর দিয়ে চেপে ধরে মাঝখানে আনবেন তারা ছোট হয়ে যাবে। আবার যখনই ম্যাপের উপরের দিকে মানে মেরু অঞ্চলের দিকে নিয়ে যাবেন বড় হয়ে যাবে। এটাই মুলত একটা ম্যাপ এর আসল রহস্যা। বিষয়টা আরো ভালেভাবে বোঝার জন্য নিচের ওয়েবসাইটটাতে গিয়ে দেখতে পারেন। নিচর ম্যানু থেকে Mercator অপশন সিলেক্ট করুন আর দেখুন পৃথিবীর মানচিত্রের আসল মজা। http://www.jasondavies.com/maps/transition/ এবার উপরের ওয়েবসাইটটির ঠিক নিচের মাঝখানের ম্যানু থেকে Mollweide সিলেক্ট করুন। এবার আপনি দেখতে পাবেন আসলে পৃথিবীর চিত্রটা কেমন আসে। মুলত এটাই পৃথিবীর সত্যিকারের সঠিক মানচিত্র হবে।
এখন যদি এইটাকে সেকশন আকারে ভাগ করা যায় তবে এটা আরো বেশি একুরেট হবে। তবে উপরের ছবিতে সমুদ্রগুলোকে যে কাটাকাটা দেখছেন এটা আসলে আপনার দৃস্টিসিমার অক্ষমতার জন্যই আপনাকে এভাবে দেখানো হচ্ছে। আসলে আমরা মানুষ্যপ্রজাতির দৃস্টি সিমা পৃথিবীর আসল ম্যাপ দেখার মতন সক্ষম নয়।
এবার আরো কিছু মজার বিষয় নিয়ে কথা বলি। সেই পুরোনো প্রশ্ন আসবে যে আমরা যখন এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাই তখন তো আমরা সেটার দুরত্ব হিসাব করি লম্বা একটা লাইন এর মতন হিসাব করে। কিন্তু পৃথিবী তো সম্পুর্ন গোলাকার বা ডিম্বাকার। তো এটা সম্পুর্ন ভুল। আমরা যখন কোন কোন বিশাল দুরত্ব অতিক্রম করি মানে মনে করেন ঢাকা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাই তখন আসলে আমরা পৃথিবীর বিশাল একটা বৃত্বের একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষদ্রাংশ অতিক্রম করি। কিন্তু এই ক্ষদ্রাংশ হিসাব করা তো আমাদের জন্য দুরহ ব্যাপার।
এতক্ষন উপরের যে ওয়েবসাইটটাতে আপনাকে Mercator ঘুরতে বললাম সেটাতে এই সোজা দুরত্বটা দেখা যায় কার্ভ বা গোলাকার হিসাবে। ঠিক পৃথিবীর ব্যাস যেভাবে আসবে। কিন্তু http://bl.ocks.org/mbostock/3795048 নামক এই ওয়েবসাইটটাতে আপনি খুব সহজেই দেখতে পাবেন আসলে দুরত্বটা কিভাবে সোজা একটা লাইনে কাজ করে। অসাধারন আর রোমাঞ্চকর এই বিষয়টা আমি এই প্রথম জানলাম এবং শিখলাম।
এখন যদি আপনি বলেন নাহ আমাকে মোটামুটি পারফেক্ট একটা ম্যাপ দেখাও যেটাতে জমির আয়তন ঠিক থাকবে এবং ম্যাপটাও ফ্লাট বা সমান থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। তাদের এটা ১৯৯৮ সাল থেকে মোটামুটি কাছাকাছি একটা একটা ম্যাপ হয়েছে যেখানে জমির আয়তন এবং ফ্লাট একটা ম্যাপ করা হয়েছে।এখানে শুধু আমি তিন থেকে চারটা প্রজেকশন সম্পর্কে বলেছি। আপনি আর একটু কস্ট করে মার্কিন মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসার এই ওয়েবসাইটটাতে চলে যান। http://www.giss.nasa.gov/tools/gprojector/help/projections.html চাইলে এটাতেও যেতে পারেন http://www.colorado.edu/geography/gcraft/notes/mapproj/mapproj.html এখনে এ ধরনের আরো শতাধিক প্রজেকশনের ছবি পাবেন। যেগুলো এক একটা এক এক ধরনের কাজের জন্য ব্যাবহৃত হয়।
যেমন ওয়াটারম্যান প্রজেকশন নামের এই ম্যাপটা পাবেন।
আবার ডাইম্যাক্সিয়ান প্রজেকশন ম্যাপটি পৃথবিকে প্রথমে গোল থেকে ত্রিকোনাকার করে ফেলেছে তার পরে সেটাকে সমান ফ্লাট করে দেখিয়েছে মানুষ কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছে। মানে মানুষ কোথায় পয়দা হয়ে পুরো পৃথিবীতে কিভাবে ছরিয়েছে।
সবার শেষে এই ম্যাপের প্রজেকশনগুলো কিভাবে মানুষকে হেল্প করে এটা সম্পর্কে একটা অসাধারন উদাহরন বলি। আমরা সবাই বলে থাকি পৃথিবীর ভুভাগের সবকিছুই আমাদের নখদর্পনে। আমরা সকল স্থানে গিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে একটা বিশ্ববিদ্যাল্যায়ে ভুতত্ব বিভাগের শিক্ষক Dr. Julian Bayliss গুগল আর্থ এর ম্যাপ ব্যাবহার করে আফ্রিকার মোজাম্বিক আমন একটা দেশের ভুভাগ পরিক্ষা করছিলেন। হঠাৎ করে তার চোখে পরে একটা পর্বত যেটার অপর পাশে সবুজ একটা জঙ্গল। তিনি সাথে সাথে তার একটা টিমকে রেডি করে চলে যান মোজাম্বিকে। কারন এই জঙ্গলটা সম্পর্কে কখনো কেউ শুনেনি এবং মোজাম্বিকের ম্যাপেও এর কোন উল্লেখ নেই। পরবর্তিতে তিনি ২০১৩ সালে এসে আবিস্কার করলেন অত্যাশ্চর্য এক জঙ্গল যেটাতে উনার আগে কখনো মানুষের পা পরেনি এমনকি কেউ জানতই না এধরনের একটা জঙ্গল আফ্রিকাতে আছে।
উপরের এই ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন কি অসাধারন জিনিষ আবিস্কার করেছিলেন Dr. Julian Bayliss আর তার দল। আপনার হাতের মোবাইলে থাকা যে ইন্টারনেটের লাইটটি পাচ্ছেন এটি একটি সাবমেরিন ক্যাবলে এসেছে। আর এই সাবমেরিন ক্যাবলটি বসাতে গিয়ে উক্ত প্রকৌশলি দলকে একটা নির্দিস্ট প্রজেকশনটি ব্যাবহার করতে হয়েছে। আপনার বাসায় আসা গ্যাসের কানেকশনটির জন্য একটা প্রজেকশন ব্যাবহার করা হয়েছে। গ্যাসের কুপটি খনন করার জন্য বা তেলের কুপগুলো খনন করার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে একটা প্রজেকশন। আপনার আমার কল্পনার বাইরে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমানে ব্যাবহারিক দিক আছে এই ম্যাপ প্রজেকশনগুলোর।
আর আমরা আমাদের চোখের সামনে সার্বক্ষনিক একটা অদ্ভুৎ ম্যাপ নিয়ে বসে আছি যেটাতে আমরা নিজেরই জানিনা যে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল করে রাখা হয়েছে। এই পৃথিবীতে এখনো আমরাদে দৃস্টির অগোচরে অনেক অনেক জিনিষ রয়েছে যা এখনো আমরা জানিনা বা দেখিনাই। তাই সবকিছু দেখা হয়ে গেছে বা আবিস্কার হয়ে গেছে বলে বসে উপরের ছবির মতন মাথা মাটির নিচে ঢুকিয়ে রাখবেন না। অথবা এটাও মনে করবেন না বেশি জানার প্রয়োজন নাই বেশি জানলে ইমান চলে যাবে। জানার চেস্টা করুন, খুজতে থাকুন। সে আপনি যে বিষয়ের স্টুডেন্ট বা কর্মিই হোননা কেন। সফল আপনি হবেনই কারন অদেখা এই পৃথিবী যত বেশি আমরা দেখবো এবং অজানা কিছু যত বেশি জানবো আমাদের চোখের সামনের অন্ধকার ততই কেটে যাবে।আমি যদি বলি আপনি এখন পর্যন্ত যত পৃথিবীর যতগুলো মানচিত্র দেখেছেন সবগুলোই একই সাথে ভুল। শুধু ভুলই না অসম্ভব রকমের ভুল। হাস্যকর রকমের ভুল।
ভদ্রলোকের নাম -
Craig Lewis, বয়স 55 মার্চ ২০১১- এর ঘটনা ।
উনার হার্ট এ একটা মেজর ক্লিনিকাল প্রবলেম ছিল – যার কারনে তিনি প্রায় মৃত্যুশয্যায় । এমন অবস্তায় আমেরিকার টেক্সাস এর ২ ডাক্তার তার পাসে এসে দারান ।
তারা উনার পুরো হার্টটা ফেলে দিয়ে একটা “অনবরত পাম্প” বসিয়ে দেন।
মজার বিষয় এটাই যে পাম্পটা তারা নিজেরাই বানিয়েছেন পুরপুরি হার্ট এর মত শব্দ আর বিট করে না ।যেটা মেডিকেল সায়েন্স এর একটা নতুন দিগন্ত ।
আজ এই পর্যন্তই। মেডিকেল এর দুনিয়ার নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের কাছে আবার আসার কামনা রাখি।
টিউনটা পরে ভাললাগলে কমেন্ট আশা করি।
পৃথিবীর সব মানুষই কি একরকম? না, বলতে গেলে কেউই কারো মত নয়। শুধু মানুষের ক্ষেত্রে নয় অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদিও প্রাণীর ক্ষেত্রে আমরা পার্থক্যটুকু তেমন একটা ধরতে পারি না। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই বৈচিত্রটুকু আমরা ঠিকই বুঝতে পারি। আমরা দেখি যে, আমাদের চারপাশের মানুষের আচার-আচরণ, চেহারায় একজনের সাথে অন্যজনের প্রায় মিল নেই। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন মানুষের বা অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়? অনেকেই অবাক হয়ে বলবেন যে, এ আবার কেমন কথা হলো? একজনের সাথে অন্যজনের মিল কেন থাকবে বরং মিল থাকাটাই তো আশ্চর্য! আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। আমরা জানি যে মানুষ সহ অন্যান্য সকল প্রাণী একটি মাত্র ক্ষুদ্র কোষ জাইগোট থেকে বিভাজনের মাধ্যমে পরিণত জীবে রূপ নেয়। এই জাইগোট হল ডিপ্লয়েড অর্থাৎ দুইটা একক বা হ্যাপ্লয়েড কোষ মিলিত হয়ে গঠিত হয়। এই দুই কোষের একটি পিতা অন্যটি মাতা থেকে আসে। সে অনুযায়ী ঐ জাইগোট থেকে সৃষ্ট জীব মাতা পিতার অনুরূপ হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না! দেখা যায় যে, নতুন সৃষ্ট এই জীবের অনেক আচরন পিতা মাতার সাথে মিল থাকলেও তার কিছু আচরণে সম্পূর্ণ অমিল পাওয়া যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয়?
পার্থক্য কেন হয় সেটা জানার আগে চলুন আমরা একটু মজার উদাহরণ নিয়ে একটু মজা করে নেই। আমরা অনেকেই হলিউডের বিখ্যাত সাই-ফাই ‘এক্স-ম্যান’ মুভিটা নিশ্চই দেখেছি। এই মুভিটাতে এরকম পার্থক্যের মানুষ দেখানো হয়েছে। আসলে এরকম পার্থক্য হওয়াকে বলে মিউটেশন। আমরা মুভিটাতে হিরোদের বিভিন্ন ক্ষমতা দেখতে পাই। মুভিটাতে কেউ প্রচন্ড বেগে ছুটতে পারে, কেউ মন পড়তে পারে আবার কেউ ইস্পাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেহেতু এটা সাই-ফাই মুভি তাই নিশ্চিত ভাবেই এখানে সবকিছুই একটু অতিরঞ্জন করেই দেখানো হয়েছে। যাই হোক, ঐ মুভির মত ঐরকম ক্ষমতা পাওয়া সম্ভব না হলেও মিউটেশনের মাধ্যমে তার অনেকটা কাছাকাছি ক্ষমতা কিন্তু পাওয়া অসম্ভবের কিছু না! হ্যাঁ, আমার কথাটা একেবারেই সত্য। এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। আচ্ছা দাড়ান আপনাদের এর কিছু বাস্তব উদাহরণ দিয়ে দেয়া যাক। আপনাদের মনে আছে কি, কিছু দিন আগে মার্ভেল ইউনিভার্সের স্রষ্টা স্টেনলি ডিসকভারি চ্যানেলে একটা ডকুমেন্টরি করেছিলেন যার নাম ছিল ‘সুপার হিউম্যান’। যারা ডিসকভারি চ্যানেল দেখে থাকেন তারা নিশ্চই মনে করতে পেরেছেন। ঐ প্রোগ্রামে প্রকৃতির অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদেরকে খোঁজা হত এবং তাদের ক্ষমতা দেখান হত। পরে তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেইসব ক্ষমতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করান হত। সুতরাং দেখা গেল যে, প্রকৃতিতে এমন কিছু অসাধারণ মানুষ আসলেই আছে। আর এসবের কারন হল ‘মিউটেশন’। এবার চলুন আমরা মিউটেশন ব্যাপারটা আসলে কি সেটা বোঝার চেষ্টা করি। তো চলুন জানা যাকঃ
মিউটেশন কিঃ এক কথায় বলতে গেলে, কোনো কারণে প্রাণীর জিনোমের পরিবর্তনকে মিউটেশন বলে। বিস্তারিত ভাবে বললে এভাবে বলতে হয়ঃ আমরা জানি যে, প্রাণী ক্ষুদ্র জাইগোট থেকে পরিণত প্রাণীতে রূপ নেয়।
তখন জাইগোটের বিভাজনের প্রয়োজন পড়ে। জাইগোটের বহু বিভাজনের সময় একইসাথে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) এর বিভাজন হয়। এই বিভাজনের সময় সাধারণত সৃষ্ট কোষ বা ডিএনএ মাতৃ কোষ বা ডিএনএর অনুরূপ হয়ে থাকে। কিন্তু ভুল সব ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। কোষের বিভাজনের কারনে অনেক সময় দেখা যায় যে কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোজোমের সংখ্যায় পরিবর্তন সাধিত হয়। আবার অনেক সময় ডিএনএর ক্ষারগুলোর মধ্যে এই পরিবর্তন হয়ে থাকে। এভাবেই পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবে বৈচিত্র আসে যাকে বলা হয় মিউটেশন।
মিউটেশনের মধ্যে ডিএনএ মিউটেশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা নিয়ে আর একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। মিউটেশন মূলত দুই প্রকার হয়ে থাকে। একটা হল স্বতঃস্ফূর্ত আর অন্যটা কৃত্রিম। সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত মিউটেশন প্রকৃতিতে খুবই বিরল। বলতে গেলে প্রায় ১০০,০০০ তে মাত্র ১। সূর্যের আলোর পার্থক্য, গামা রশ্মি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এসব কারনে স্বতঃস্ফূর্ত মিউটেশন হয়ে থাকে। আর মানুষের প্রয়োজনে কৃত্রিম মিউটেশন করান হয়। আসুন দেখে নেই কিভাবে ডিএনএর অনুলিপনের সময় মিউটেশন হয়।
পয়েন্ট মিউটেশনঃ সাধারণত ডিএনএ অনুলিপনের সময় ডিএনএ ক্ষারগুলোর মধ্যে পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে যে মিউটেশন ঘটে তাকে পয়েন্ট মিউটেশন বলে। আসুন ডিএনএর গঠনটা একটু মনে করা যাক।
আমরা ছবিতে দেখি যে ডিএনএ হল প্যাঁচানো সিঁড়ির মত। আসলেই সেটা এরকম। ডিএনএ কোষের কেন্দ্রে ক্রোমোজোমে থাকে। আর ডিএনএর কোডকে বলা হয় জিন।
যাই হোক, এই ডিএনএতে প্যাঁচানো সিঁড়ির মত দুইটা হাতল দেখা যায়। এর এক একটি হাতলকে পলিনিউক্লিওটাইড বলে। এর দুটি হাতলের একটি পিউরিন আর অপরটিকে পাইরিমিডিন বলে। পিউরিনে আবার থাকে অ্যাডিনিন ও গুয়ানিন নামক বেস। আর পাইরিমিডিনে থাকে সাইটোসিন ও থায়ামিন নামক বেস। একটি হাতল অপর হাতলের সাথে এই চারটি বেসের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে অ্যাডিনিনের সাথে ৩ টি কার্বন বন্ধনের মাধ্যমে থায়ামিন যুক্ত হয়। এবং সাইটোসিন ২ টি কার্বন বন্ধনের মাধ্যমে গুয়ানিনের সাথে যুক্ত হয়। এভাবে পরস্পর দুইটি হাতল যুক্ত থাকে। কোষের মত এই ডিএনএরও বিভাজন হয়ে থাকে।
ডিএনএ যে পদ্ধতিতে বিভাজিত হয় তাকে বলে অর্ধরক্ষণশীল পদ্ধতি। কারন এক্ষেত্রে প্রতিটি হাতল প্রথমে আলাদা হয়ে যায়। এবং পরে প্রতিটি হাতল তার পরিপূরক হাতলের তৈরি করে। অর্থাৎ পিউরিন আলাদা হয়ে যায় এবং সাথে নতুন করে পাইরিমিডিন তৈরি করে। এভাবে পাইরিমিডিনও আলাদা হয়ে পিউরিন তৈরি করে। অর্থাৎ একটি নতুন আর একটি পুরাতন বেস মিলিত হয়ে তৈরি করে নতুন ডিএনএ। কিন্তু ঠিক এই সময়তেই কখনো কখনো ঘটে বিপত্তি। অর্থাৎ মাঝে মাঝেই ডিএনএ অনুলিপনের সময় ভুল হয়ে যায়। এসময় অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন আর থায়ামিনের যে বিন্যাস তার পরিবর্তন সাধিত হয়ে যায়। আর এ কারনেই তৈরি হয়ে যায় নতুন বৈশিস্ট। ফলে জীবের জিনোমেও পরিবর্তন আসে।
উপরে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ডিএনএ অনুলিপনের সময় সামান্য ভুলের মাধ্যমে মিউটেশন ঘটে। কিন্তু সবসময় এই ভুলের মাশুল কিন্তু দিতে হয় না। কারন অনেক সময়ই মিউটেশন আমাদের প্রচ্ছন্ন জিনের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই সেটা আমাদের গঠন বা ব্যবহারে প্রভাব ফেলে না। তবে এই পরিবর্তন যদি হয় প্রকট জিনে তখনই জীবে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। আবার অনেক সময়ই এই পরিবর্তন জীবের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। ফলে জীবের বিনাশ হয়ে যাবারও আশংকা থাকে। তবে ইতিবাচক পরিবর্তন হলে সেটা জীবের জন্য সুখবর বয়ে আনে। এভাবেই কিন্তু মিউটেশনের মাধ্যমে আজ আমাদের এই মানব রূপ প্রাপ্তি বা আমাদের উন্নত রুপে পদার্পণ। আর একেই বলা বিবর্তন। স্বাভাবিকভাবে যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব যে, বিবর্তন সবক্ষেত্রেই বিদ্যমান। আর এই বিবর্তন হয়ে থাকে সামান্য ভুল থেকে। যেমন আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, ভাষা, শিক্ষাব্যাবস্থা, জীবন যাপন সবকিছুরই বিবর্তন হচ্ছে বা উন্নত রূপ লাভ করছে। বিবর্তনে ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হল ‘যোগ্যতমরাই টিকে থাকবে’। অর্থাৎ পরিবেশের সাথে যে যত বেশি খাপ খাওয়াতে পারবে সে তত বেশি স্থায়ী হবে। তাই বিবর্তনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইতিবাচক মিউটেশনই গ্রহণযোগ্য।
মিউটেশনের প্রয়োগ ও সম্ভাবনাঃ মিউটেশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এটি কিন্তু উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমরা ইতিমধ্যেই উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মিউটেশনের ব্যাপক সাফল্য পেয়েছি। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর উন্নতিকল্পে কৃত্রিম উপায়ে সুবিধাজনক মিউটেশন সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। ছত্রাক থেকে মূল্যবান ঔষধ পেনিসিলিন তৈরী হয়। এই ঔষধ যখন প্রথম আবিষ্কৃত হয় তখন ছত্রাক থেকে খুব কম পরিমাণে ঔষধ পাওয়া যেত। পরে বিকিরণ প্রয়োগ করে এমন ছত্রাক পাওয়া গেছে যার উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশী। বিজ্ঞানী এইচ স্টাবি (H. Stubbe) দেখিয়েছেন, মিউটেশনের মাধমে উৎপাদিত বার্লির উৎপাদন ক্ষমতা ও প্রেটিনের পরিমাণ বেশী। আমেরিকায় চিনাবাদাম গাছে এক্সরে প্রয়োগ করে অধিক উৎপাদনশীল গাছ পাওয়া গেছে। M.S. Swaminathan গমে আলট্রা ভায়োলেট ও গামা রশ্মি প্রয়োগ করে দ্রুত ফলনশীল ও অধিক প্রোটিনযুক্ত উদ্ভিদ পেয়েছিলেন। এই উদ্ভিদে লাইসিনের পরিমাণ বেশী হয়। এছাড়া সর্ষে গাছে তেলের পরিমাণও মিউটেশনের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। স্বপরাগী উদ্ভিদে বিশেষত যে সব উদ্ভিদে সহজে সংকরায়ণ করা যায়না তাদের বেলায় কৃত্রিম উপায়ে মিউটেশনের মাধ্যমে উন্নতি করা সম্ভব (পাট)। মিউটেশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে (চীনাবাদাম)। মিউটেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের উৎকর্ষ সাধন হয়েছে (বীট)। ফুলে বৈচিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে (ডালিয়া)।
বর্তমানে প্রাণীর ক্ষেত্রেও মিউটেশনের প্রয়োগের জন্য পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই হয়ত জীন প্রকৌশলের কথা মোটামুটি জানি। এক্ষেত্রে প্রাণীর জীন-কণার মধ্যে কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন আনা হয় বা নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়। এভাবে উন্নত ফসল ও প্রাণী তৈরি করা যায়। ইতিমধ্যেই এ পদ্ধতিতে ভেড়া, গরু আর মাছের উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
কিছু ভাবনা ও কল্পনাঃ আমরা মানবদেহ ডিজাইন সমস্যার কথা জানি। আমাদের দেহে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ রয়েছে সাথে কিছু ভুল ডিজাইন। অপ্রয়োজনীয় অঙ্গের একটি হল আমাদের পাজড়ের কাছে থাকা অ্যাপেন্ডিক্স। আর আমরা আমাদের কোমড়, মাথা আর চোখের ক্ষেত্রে কিছু ভুল ডিজাইন দেখতে পাই। আপাত দৃষ্টিতে এগুলো ভুল বলে মনে হলেও হয়ত এগুলো ভুল নয়। তবুও যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত মিউটেশনের মাধ্যমে এসবের বিবর্তন হতে পারে নতুবা আমরা নিজেরাই প্রয়োজনে মিউটেশন করিয়ে নিতে সক্ষম হব। আর এভাবে আমরা আমাদের নিজেদেরকে আরো উন্নত ও বুদ্ধিমান সত্ত্বায় রূপান্তরিত করতে পারব।
সবশেষে বলতেই হয় যে, মিউটেশন কিন্তু সর্বদা মঙ্গল বয়ে আনে না। অনেক সময় এটি ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা আশাবাদী যে একদিন হয়ত আমরা আমাদের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মিউটেশনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এসবই কেবল ভবিষ্যতই আমাদের বলতে পারে। তাই ভবিষ্যতের অপেক্ষায়…
ইচ্ছে করলে অনেক ব্লগে নানান বিষয় নিয়ে লিখালিখি করা যায়, কিন্তু যা খুশি তা লেখার জন্য তো একটা জায়গা থাকা দরকার, তাই অনেকটা নিজের সেই আকাঙ্ক্ষা মেটাতেই এই ব্লগ !
Total Visitors
ঘরে বসেই "RAZ n DAZ" থেকে অনলাইনে শপিং করুন সহজেই...